Saturday, March 24, 2012

সর্বনামকে লেখা কবিতা



সর্বনামকে লেখা কবিতা 



বহু ব্যবহারে তিনি ক্ষয়ে যাচ্ছেন
 নামমাত্র হয়ে উঠছেন ।
সংবাদপত্রে , নামানো চশমায় কিংবা ফোনের শব্দে
ফিরে আসছে ক্রমশ ফিচেল নস্ট্যালজিয়া ,
এমনকি উৎসর্গপত্রও ধুধু করে গেলে তুমি শান্তভাবে
তাকে চেপে ধরেছো কোমোডের ফ্লাশে ,
তার ডুবে যাওয়া থেকে মোহ ও টিউলিপ ভেসে ওঠে ।
সিগারেট জ্বালাবার সময় যেসব অসম্ভব ফ্যান্টাসি মনে আসে
তারা ক্রো-ম্যাগনান হবে
বানাবে পাথরের টুকরো , অস্ত্র ও নিশানা
তাদের প্রত্যেকের জন্যই তুমি শোক-প্রস্তাব এনেছিলে সেদিন ।




কিওস্কের থেকে দূরত্ব সম্পর্কে ধারণা হল
অথচ
ইদানীং কোনো কার্ড নিয়ে আসিনি আমি
অ্যান্টেনায় কার্ড ঝুলছে দূরত্বের মত
পিয়ন তালাচাবি থেকে ঘুরে আসছে দূরত্বের মত প্রয়োগে




তোমাকে কতটা ওগরানোর পর অবলীলা হোলো
ছানাছানির কেদারায়
একটা ঈর্ষা বসে দেখছে আরেকটা ঈর্ষার হা-হুতাশ
এসব লাস্ট সীনে ঈশ্বর মাঝে মাঝে রেনড্রপ ফেলে যান
দূর্দ্ধর্ষ হাততালিতে আমাদের জনতা
তোমাকে চিবুচ্ছে
লুটে নিচ্ছে সুপারলোটো
...
মৃদু ও কুচো কাগজের স্নব



কবিতা ঢুকে পড়েছে
নখেদের ক্ষেত বানচাল করছে
আদৌ হচ্ছে সারারাত জুড়ে
আমাকেও তবে ক্রিয়াপদের সাথে বিয়ে দাও
সামান্য
নেশাতে ধ্রুপদী করি
নষ্ট বৌ'দের সারারাত জেগে বানানো হ্যারিকেন
ঘাম গন্ধ ফেলে গ্যাছে ; তোমার ভেতরেও কত না সঞ্চয়িতা থাকে
তোমাকে শাফল্ করে কবিতা ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়
আর টাপুর ফেলে দ্যায় ঘুম
ওয়ালপেপার যদিও
আস্কারা মাখছে অভিমান



সুইচবোর্ড থেকে আলো ফেলছে শাহেনশা
এই ভঙ্গীমায় মেয়েদের হাতব্যাগ
সিস্টার্ন ও সিস্টার্ন পর্যন্ত যেকোনো
ন্যাপথ্যালিনের দেবতারং ; একটি বসন্ত
গিলে খাচ্ছে
আরেকটি বসন্তের খিদে

ওই যোনির ভেতরে বুম নিয়ে বসেছে
নির্জন স্টেশনমাস্টার
ছ্যাঁতরানো মাংসের হু হু অমনিবাস
তার টুপটাপে,ঝরোকায়
মেয়েটার যাওয়া-আসা লেখা হয় ।

No comments:

Post a Comment